প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি। নৌপথগুলো সচল করার ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলপথ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে এবং আরও নতুন নতুন অঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রেলে যোগাযোগের সুযোগটা বাড়াচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে, মানুষের পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে। সেখানে মানুষের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিতে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি এই উদ্যোগটা না নিতেন, আর বারবার আমাদের না বলতেন, তা হলে তো এই অঞ্চলে যে এই রকমভাবে রাস্তা করা যায়, এটা হয়ত চিন্তারই বাইরে ছিল। কিন্তু আজকে তার অনুপ্রেরণা এবং তারই উদ্যোগে এই রাস্তাটি আমরা করতে পেরেছি।’ উদ্বোধন ঘোষণার পর ভিডিওতে হাওরের বিস্ময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এ সময় হাওর ও সড়কটির সৌন্দর্য দেখে অভিভূতি হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ইশ! এ সড়কে (দেখতে) কবে যে যাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনটা পড়ে থাকল। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাব। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাবো। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাব। এ সময় হাওরাঞ্চলে কৃষিপণ্যভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগাযোগ উন্নত হলে দেশের পণ্য বিদেশেও রফতানি করার যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানের গণভবন প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন প্রান্তে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। সৌন্দর্যের লীলাভুমি কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে সারাবছর চলাচল উপযোগী দৃষ্টিনন্দন সড়ক। ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে নিমার্ণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে অল ওয়েদার সড়কের মাধ্যমে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা ও জীববৈচিত্র্যের পরিপূর্ণ হাওরের সৌন্দর্য বেড়েছে। গণভবন থেকে ৪ বছরে সম্পন্ন এই রাস্তাটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।