আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় ঢাকার গ্রীণরোডস্থ নবনির্মিত পানি ভবনের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পানি ভবনের উদ্বোধন করবেন। প্রায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১২ তলা বিশিষ্ট পানি ভবনের গত ২০১৫ (৩১ জানুয়ারি) সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পানি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পানি ভবন প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিলো জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের উদ্ভূত নানা দুর্যোগ মোকাবেলাসহ শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে যুগোপযোগি ও আধুনিক কর্মপরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বোধ করা হয়। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতি ,অনুমোদন ও পরামর্শে পানি ভবন নির্মিত করা হয়। ভাটি অঞ্চলে অবস্থান বলে পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোন উন্নয়নই স্থায়ী করা যায় না।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ সালের উপর্যুপরি ভয়াবহ বন্যার পর জাতিসংঘের অধীনে গঠিত ক্রুগ মিশনের সুপারিশক্রমে সেচ ব্যবস্থা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ পানি সম্পদের উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিওয়াপদা) গঠিত হয়। ১৯৭২ সালে ইপিওয়াপদা’র “পানি উইং” নিয়ে “বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড” (বাপাউবো) নামে স্বতন্ত্র সংস্থা সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব প্রকৌশলীদের নকশায় প্রায় ৪,২০,০০০ বর্গফুটবিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণে লেগেছে প্রায় সাড়ে চার বছর। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পানি ভবনে সোলার প্যানেল, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রেইন ওয়াটার রিজার্ভারের মতো পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থাসহ ৫৩৬ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অডিটরিয়াম, ৪৫০০ বর্গফুটের হেলিপ্যাড, ৩৭৬টি গাড়িপার্কিংসহ অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে।উপরন্তু, এই কমপ্লেক্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্মৃতিবিজড়িত পুকুরটি (২১,৪৮৪ বর্গফুট) সংরক্ষণ করা হয়েছে ও ২০,৬২৫ বর্গফুটের একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।