ধান চাল মজুদ করে যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খোলাবাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ওপেন মার্কেট সেল ওএমএস’এর মাধ্যমে চাল বিক্রি বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় মন্ত্রণালয়।
আজ থেকে খোলাবাজারে চাল বিক্রি প্রতিটি পয়েন্টে দ্বিগুণ করা হয়েছে। ১ হাজার কেজি চাল ৫ কেজি করে প্রতিটি ডিলার পয়েন্ট থেকে ২০০ জন কিনতে পারবেন এ পুষ্টি চাল। রাজধানীতে ১২০ টি ডিলার পয়েন্ট আছে। চালের সাথে ক্রেতারা নিতে পারছেন জন প্রতি ৫ কেজি করে আটা। তবে যেসব এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ বেশি, সেসব এলাকায় চাল বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ডিলাররা। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শকরা বাজার মনিটরিং করছেন। এ বিষয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছি। যদি কোন ডিলার ব্যত্যয় ঘটায়; তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। এছাড়াও আজ থেকে খোলাবাজারে চাল বিক্রি প্রতিটি পয়েন্টে দ্বিগুণ করা হয়েছে। ১ হাজার কেজি চাল ৫ কেজি করে প্রতিটি ডিলার পয়েন্ট থেকে ২০০ জন কিনতে পারবেন এ পুষ্টি চাল। এদিকে, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চালের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, কিছুটা মোটা চাল গুটি স্বর্ণা ৪২-৪৩ ও বিআর ২৮ এর কেজি ৪৬-৪৭ টাকা। কয়েকদিন আগেও মিলাররা আড়তে চাল পাঠাতে গরিমসি করছিলো। রাজধানীতেই ১২০ টি ডিলার পয়েন্টে প্রতিদিন মোট ১২০ টন পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল ও ২০০ টনের মত আটা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ ও ১৮ টাকা কেজি দরে।