কৃষি যান্ত্রিকীকরণে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে কৃষি প্রকৌশল উইং স্থাপনে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। বুধবার ‘লাগসই কৃষি যন্ত্রপাতি: বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার চাবিকাঠি’ শীর্ষক বার্ষিক কর্মশালা অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন ইনোভেশন হাব-বাংলাদেশ (আসমি) প্রকল্প। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও অধিকতর লাভজনক করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে লাগসই কৃষি যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সম্প্রতি ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া এরইমধ্যে ‘জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষিকাজের প্রতিটি ধাপে লাগসই কৃষিযন্ত্রের প্রয়োগ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ধানের চারা রোপণের সময় শ্রমিক সংকটসহ শ্রমিকের বাড়তি মজুরি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ায়, অপরদিকে উৎপাদন ব্যাহত করে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরিতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। যাতে বাংলাদেশ আগামী দিনে শুধু আমদানি করা কৃষি যন্ত্রপাতির উপর নির্ভর না করে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। সেজন্য দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগকে আমরা উৎসাহ দেই। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের অধ্যাপক ও অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসর্টিয়ামের পরিচালক প্রশান্ত কুমার কলিতার সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ও আসমি-বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, আমেরিকার কানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর কলাবোরেটিভ রিসার্চ অন সাসটেইনেবল ইনটেনসিফিকেশনের পরিচালক পিভি ভারা প্রসাদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর এম এ সাত্তার মন্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওয়ায়েস কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।