সৌদি আরবে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে আন্দোলনরত প্রবাসীদের কাছে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। সেই সময় পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখারও অনুরোধ জানান তিনি। আজ বুধবার আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল ইস্কাটনের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। এ সময় মন্ত্রী তাদের কাছে এ অনুরোধ রাখেন।
এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৌদিপ্রবাসীদের কাছে আমি আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় নিয়েছি। সৌদি আরবে তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে তখন জানাতে পারব।’ ভিসা বা আকামার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের নেই উল্লেখ করে ইমরান আহমদ জানান, এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সৌদি আরবে চিঠি দিয়েছে। রোববারের আগে কোনো খবর পাওয়া যাবে না। এ সময়ে আন্দোলন না করা এবং সৌদিপ্রবাসীদের কোনো ধরনের রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ারও অনুরোধ করেন মন্ত্রী। এদিকে সৌদিপ্রবাসী ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা টানা তৃতীয় দিনের মতো আজও কারওয়ান বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এর ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির সবেচয়ে বড় জোগান আসে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় বৈদেশিক রেমিট্যান্স থেকে। সৌদি আরব থেকে ছুটিতে আসা অনেক শ্রমিকই করোনার কারণে ফ্লাইট ও টিকেট জটিলতায় ফিরে যেতে পারছে না। এতে লক্ষাধিক সৌদি প্রবাসীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। জানা যায়, চলতি মাসের ২৩ ও ২৭ তারিখ ঢাকা থেকে সৌদি আরবে সৌদি এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট যাওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। ফলে ফের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য সৌদি এয়ারলাইনস ও এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হয় প্রবাসী শ্রমিকরা। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে কাজে ফিরে যেতে পারবে কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে প্রবাসীরা। ফ্লাইট চালুর জন্য সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ভিড় জমায় হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিক। প্রবাসী শ্রমিকদের দাবি, তাদের আকামার মেয়াদ, ভিসার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। বেশির ভাগই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেতে না পারলে সব শেষ হয়ে যাবে। আর ফিরতে পারবে না সৌদিতে। এসব শ্রমিক সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট জটিলতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুষছে।