২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | বিকাল ৫:১৪ মিনিট
ঋতু : বসন্তকাল | ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম :
বেইমানি করেছে সবাই, আল্লাহর সাহায্য চাইছে গাজাবাসী গাজায় গণহত্যা সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ মার্চে আসা রেমিট্যান্সে ভাঙল সব রেকর্ড গাজাবাসীর সমর্থনে হরতালের ডাক সারজিসের ড. ইউনূস ও বিমসটেক- সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার নতুন শক্তি বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র……………. এমপি ঘোষণার দাবিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন হিরো আলম প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তারেক রহমান র‌্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬ মহাসড়কে অটোরিকশা উঠলেই ব্যবস্থা : জিএমপি কমিশনার গত একসপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৭০ শিশু নিহত… স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে………… গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে : নাহিদ চট্টগ্রামে শিশু বলাৎকার, শিক্ষক আটক-এন সিটি নিউজ২৪.কম চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা-এন সিটিনিউজ২৪.কম একাত্তর আর চব্বিশের পার্থক্য আকাশ-পাতাল : মোমিন মেহেদী-এন সিটিনিউজ২৪ টঙ্গীবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত-এন সিটি নিউজ২৪.কম মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটি অনুমোদন জিসপ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ-্এন সিটি নিউজ২৪ ২০১৩ সাল ছিল আ.লীগের হত্যার মহোৎসব : প্রেস সচিব মিষ্টি জান্নাত ——————–

বেইমানি করেছে সবাই, আল্লাহর সাহায্য চাইছে গাজাবাসী

ncitynews24.com
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫ | আপডেট: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

বহু বছর ধরে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের জমি দখল করেছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা যখনই প্রতিবাদ করেছে তখনই তাদের ওপর চালানো হয়েছে হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার ও অবরুদ্ধ করে রাখার মতো নিপীড়ন। গেল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল তার পূর্বের সব অপরাধকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রকাশ্যে গাজায় গণহত্যা শুরু করেছে নেতানিয়াহুর সন্ত্রাসী বাহিনী। আর দুঃখজনক হলেও সত্য, এই নৃশংস গণহত্যা দেখেও নির্বিকার আরব মুসলিম দেশগুলো।

অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিন শত শত বোমা বর্ষণ করছে ইসরায়েল। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো অব্যাহত এই হামলায় ৫০ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এখনো প্রতিদিন নির্বিচারে অগণিত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হচ্ছে। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর এই নির্মমতায় তারা পাশে পাচ্ছে না কাউকে।

হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সব মুসলমান একটি দেহের মতো, যদি তার চোখ অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়; যদি তার মাথা অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর-৬৭৫৪)। অথচ ফিলিস্তিনিদের ওপর এই নির্মমতা যেন স্পর্শ করছে না কাউকে। গাজার মুসলমানদের ওপর এই গণহত্যা নির্বিকারভাবে দেখছে মুসলিম দেশগুলো। যে আরব দেশগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল, তাদের রক্ষা করা উচিত ছিল- সেই আরবরা যেন দেখেও দেখছে না কিছু।

গাজাবাসীর আকুতি ভরা বার্তায় ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ইসরায়েলি নির্মমতার যে চিত্র, ভিডিও ও ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তা কাঁদাচ্ছে বিশ্ববাসীকে। কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এমন কিছু মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ঘরের কোণে এমনভাবে মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে দেখেও আরব দেশগুলো নিশ্চুপ। সবার এমন বেইমানি দেখে এখন আল্লাহর সাহায্য চাইছে গাজাবাসী।

গাজা নিয়ে অনেক আগে থেকেই নীল নকশা ছিল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। সেই নীল নকশার বাস্তবায়ন এখন দেখা যাচ্ছে। আর এতে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ট্রাম্প গাজা পুরোপুরিভাবে দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনাও পেশ করেছেন। তিনি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে এটাকে নিজেদের পছন্দমত একটি সৈকতের শহর বানাতে চান। আর তাই গাজায় গণহত্যা চালাতে নেতানিয়াহুকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন এই মার্কিন ক্ষমতাসীন।

গত জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকে ইসরায়েল। বিনিময়ে অনেক ফিলিস্তিনি বন্দিও ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতিতে আশা দেখছিলেন অনেকে। তবে দুমাস না যেতেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নতুন করে গাজায় হামলা শুরু করেছে নেতানিয়াহুর সন্ত্রাসী বাহিনী।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটেছেন ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে যখন তারা আশায় বুক বেঁধে তাদের বিধ্বস্ত আঙিনায় ফিরেছেন তখন আবারও নিরস্ত্র এই মানুষদের ওপর বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। এখন আর তাদের বাঁচার কোনো অবলম্বন নেই। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। যেন শুধু মৃত্যুর জন্যই তারা এখন অপেক্ষা করছেন।

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি শিশু। নিখোঁজ হয়েছেন বা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি মেডিকেল এবং ত্রাণ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিভিন্ন পরিকল্পিত হামলার খবরও প্রকাশ্যে আসছে। নিখোঁজ হওয়ার পর রেডক্রিসেন্টের বেশ কয়েক প্যারামেডিকের মরদেহ পাওয়ার পর ইসরায়েলের আসল চেহারা দেখা যাচ্ছে।

বিশ্বে ২০০ কোটি মুসলিম থাকলেও গাজার মুসলিম ভাই-বোনদের বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বারবার সাহায্যের আহ্বান জানাচ্ছে গাজাবাসী। কিন্তু সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলো ডুবে আছে তাদের বিলাসিতার সমুদ্রে। পশ্চিমাদের ধ্যান-ধারণা আর আমোদে ডুবিয়ে রাখা এই আরব শেখরা আমেরিকার আনুকূল্য চান। নতুন নতুন মারণাস্ত্র কিনে প্রতিবেশীদের ঘাড়ে ফেলতে চান। কিন্তু গাজার জন্য সামান্যতম সহানুভূতি নেই তাদের।