বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হয়। এখন সেই মূল কাজটা বাদ দিয়ে আমরা যদি সাবসিডি কাজগুলো প্রথমে শুরু করে দিই তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা হতে পারে না। অনেকে পূর্বের উদাহরণ দেয়। পূর্বের উদাহরণ আর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের উদাহরণ তো এক হতে পারে না। সেটা এক হবে কেন? বিপ্লবের ফলে এটা তো একটা জনসমর্থিত সরকার। এই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। পার্লামেন্টারি নির্বাচন, যেটাতে জনগণ ভোট দিতে পারে। সেই আস্থাটা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতা যার হাতে তিনি ইচ্ছে করলে সবকিছু করতে পারেন। আমার মনে হয়, এই জায়গাটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের সময়, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের সময় এমন একটা পদ্ধতি থাকা দরকার যারা সরকারে থাকবে, সেই সরকারটা অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকবে।’
দলীয় সরকারে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় সরকার থাকলে নির্বাচনে সমূহ সম্ভাবনা আছে হস্তক্ষেপ করার। যেটার গত ১৫-১৬ বছরে এটা প্রমাণিত হয়েছে। যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের দরকার মানসিক পরিবর্তনের।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন তার মনমানসিকতা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অনুকূলে না হয়, তাহলে আমি কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন না। এজন্য আমি প্রথমে বলেছিলাম-বিষয়টা শুধু আইনি সংস্কার নয়।’
মানুষ ছোটে ছোট কাজ থেকে বড় কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায়। আর আমরা একবারেই জাতীয় নির্বাচন করতে বলি? তাহলে তো এই কাজে ভূল হবে? তাই কোন ভাবেই যেন জাতীয় নির্বাচন আগে না হয়। আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন পরে জাতীয় নির্বাচন করা উচিত।