ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে অবিলম্বে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও অন্য বেশ কয়েকটি দেশ। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার যুদ্ধবিরতির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে তারা।
বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি এক বৈঠকে ব্যাপক আলোচনার পর এ আহ্বান জানায় প্রভাবশালী সাতটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল ও লেবাননের সীমানা নির্ধারণী ‘ব্লু লাইন’ বরাবর এ যুদ্ধবিরতি প্রযোজ্য হবে আর সংঘাতের সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমাধানের জন্য পক্ষগুলোকে আলোচনার সুযোগ করে দেবে।
যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, “অবিলম্বে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করতে ইসরায়েল ও লেবানন সরকারসহ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।”
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত এই যৌথ বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাক্ষর করেছে; জানিয়েছে রয়টার্স।
বুধবারও লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিগুলো সংকলন করে জানিয়েছে রয়টার্স। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২২৩ জন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, তারা লেবাননে একটি সম্ভাব্য স্থল হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এ জন্য দুই ব্রিগেড রির্জাভ সেনা তলব করা হয়েছে।
তার এমন মন্তব্যে লেবাননের সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে ব্যাপক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শত্রুতা হ্রাস করার জন্য ওয়াশিংটন গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও লেবাননের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিল।
ওয়াশিংটন ও এর মিত্ররা এসব আলোচনাকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি চলার সময়কালে একটি বিস্তৃত চুক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বাইডেন বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রতিটি সাক্ষাতে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলে ও লেবাননের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা অনুভব করেছে, যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর এটাই সঠিক সময়।