৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার | সকাল ৯:৩৬ মিনিট
ঋতু : শীতকাল | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিরোনাম :
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ সিটি করপোরেশন পরিচালনায় কমিটি, কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকবেন যিনি কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে, আইন ভাঙলে ব্যবস্থা’ রেমিট্যান্স নিয়ে আবারও সুখবর চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা বাহিনীর হাতে সোনারগাঁও উপজেলা  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর গ্রেপ্তার বন্দরে পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যাটারী কারখানা বন্ধের নোটিশ সড়ক যেন অপরাধীদের কবলে ! এ যেন মরন ফাঁদ!!  মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়ক|| পুলিশী টহল বৃদ্ধির আশ্বাস ওসির… সাবেক এমপি শামীম ওসমানের স্নেহভাজনআলীর বিএনপি নেতা হওয়ার খায়েশ পূর্বাচলের অস্ত্র উদ্ধার মামলা৭ বছরেও অস্ত্রের উৎস মেলেনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস মিরপুরে নয় কানপুরেই শেষ সাকিবের ক্যারিয়ার! অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল মারা গেছেন পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে নার্সসহ আহত ১৪ দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন কখন হবে সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত : জয়নুল ফারুক স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি শাসন পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানব বানিয়েছে : জিএম কাদের

বাশুড়ি ফাতেমা  হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে বন্দরে বিএনপির মানববন্ধন, এলাকাবাসীর  ক্ষোভ

ncitynews24.com
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | আপডেট: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাশুড়ি ফাতেমা  হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে বন্দরে বিএনপির মানববন্ধন, এলাকাবাসীর  ক্ষোভ

বিশেষ প্রতিনিধি  : ঋণের টাকা ফেরত না দিতে শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগম(৫০)কে পরিকল্পিত ভাবে  হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত  আসামিদের পক্ষে এক মানববন্ধব করেছে বন্দর উপজেলা বিএনপির বির্তকিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার সকালে লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ  মানববন্ধন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর আসামিদের বাঁচাতে ও মামলা ধামাচাপা দিতে  একটি রাজনৈতিক মহল রহস্যজনক  ভূমিকা পালন করছে বলে মামলার বাদীর পরিবারের অভিযোগ। আসামিদের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা না উল্টো মানববন্ধন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন  এলাকাবাসী।

জানাগেছে, ঋণের পাওনা টাকা ফেরত দিতে শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউপির দশদোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জামাতা রাসেদুল ইসলাম নান্টু মোবাইল ফোনে  সোনারগাঁও ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে  সোনারগাঁও উপজেলার বস্তল এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ডালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নিখোঁজের পরদিন গত রোববার সকালে  বোরকা পরিহত গামছা দিয়ে মূখ বাঁধা অবস্থায়  ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
এ   হত্যাকান্ডের  ঘটনায় গত রোববার রাতেই  নিহতের   ছেলে  সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে জামাতা রাসেদুল ইসলাম নান্টুকে প্রধান আসামি করে  ৬ জনের নাম উল্লেখ করে  সোনারগাঁও থানায় একটি হত্য মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামি জামাতা সোনারগাঁও পৌরসভা পুরান টিপরদী এলাকার মৃত কাজী আবুল কাশেমের  রাসেদুল ইসলাম নান্টু(৪০), নান্টুর  বড় দুই ভাই আব্দুল্লাহ(৫০)  মাসুম(৪৫),   বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের মৃত ছাবেদ খন্দকারের তিন  ছেলে মাসুদ রানা (৫০) জাহেদ   খন্দকার (৩৯) ও সাইদ (৪০)। জাহেদ খন্দকার ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে,  ফাতেমা বেগম হত্যা মামলার ৫নং আসামি জাহেদ খন্দকার,  সংঘবদ্ধ সিএনজি চোর ও চাঁদাবাজ।  সিএনজি চুরির অপরাধে কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়। তার পর থেকে  আন্তঃ জেলা সিএনজি চোর হিসাবে পুলিশের তালিকায়  চিহৃিত করা হলে  তার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী  বাহিনী প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যহত থাকায়  জাহিদ এলাকা ছেড়ে দিয়ে আত্নগোপনে চলে যায়। শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর জাহিদ ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পরিচয়ে চুরি ছেড়ে দিয়ে গত এক মাসে সংঘবদ্ধ ভাবে  চাঁদাবাজি ও হত্যা সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
ওই মামলার  ৪ নং আসামি মাসুদ রানা নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঠিকাদার রাজু ভুঁইয়ার নিজস্ব গাড়ি চালক থাকাবস্থায় ৫ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।   এ ঘটনায়  মাসুদ রানার পিতা ছাবেদ খন্দকার ও তার এক ভাইকে   বিগত সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মাসুদ রানা নিজ নামে দলিল তৈরি করে আপন মামা মিজানুর রহমানের সম্পত্তি অন্যত্রে বিক্রি করায় গ্রামে সে নানা বিতর্কিত। এছাড়াও মাসুদ রানার  বিরুদ্ধে সোনারগাঁও আরো  একটি হত্যা সহ  একাধিক মামলার আসামি।  নিহত শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগম, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির দশদোনা গ্রামের করিম মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, ,  পূর্বের  দারদেনা ও  কিস্তি পরিশোধ জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ে মা ও ভগ্নিপতির  মধ্যে পারিবারিক ভাবে দ্বন্দ্ব চলছিল।  পূর্বপরিকল্পিত ভাবে  গত শনিবার সকালে বকেয়া কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে মাকে  ফোন করে সোনারগাঁও ভগ্নিপতির  বাড়ির কথা বলে  নিয়ে যায়। তারপর থেকে মা  নিখোঁজ। এঘটনায়  শনিবার রাতে বন্দর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছি।  নিখোঁজের পরদিন গত রোববার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার বস্তল এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ডালে বোরকা পরিহত গামছা দিয়ে মূখ বাঁধা অবস্থায়  আমার মায়ের  লাশ উদ্ধার করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।  মামলার প্রধান আসামি নান্টু  পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে  আসামি বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহেদ খন্দকার ও  অজ্ঞাত আরো  ৫/৬ জন মিলে  একেঅপরের যোগসাজশে  মাকে  শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।  এখন আসামিদের বাঁচাতে বিএনপির লোকজন মামলা তুলে নিতে নানা ভাবে হুমকি দমকি প্রদান করছে। বর্তমানে মামলার বাদী হয়ে পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে মামলার বাদীর অভিযোগ।