মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে রাজধানী নাইপিদোসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রায় দুই লাখ ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে জানিয়ে বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, শুক্রবার মিন অং হ্লাইং বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা পেতে বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
জান্তা সরকার বলেছে, শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় দুই লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত ৩০টি এলাকা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬০২ জন লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে সংঘাতে আক্রান্ত দেশটিতে বন্যার কারণে দুর্দশা আরও তীব্র হয়েছে।
গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, বন্যায় দেশের কিছু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের একটি স্বর্ণ-খনি এলাকায় ভূমিধসে বেশ কিছু লোকের চাপা পড়ার খবর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এর আগে বিদেশ থেকে আসা মানবিক সহায়তায় হয় বাধা দিয়েছে বা না হয় ফিরিয়ে দিয়েছে।
দেশটিতে ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের কারণে অন্তত এক লাখ ৩৮ হাজার লোকের প্রাণহানির পর তৎকালীন জান্তা সরকারে বিরুদ্ধে জরুরি ত্রাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।