স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। আবারও তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে। আপনি বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যাবেন, যেটা হবে উন্নত বাংলাদেশ। সেই দিন আর দূরে নেই।শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক অংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করে সেতু বিভাগ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াতে। আমি ঘুরে দেখেছি, আপনি ১৫ বছরে যেভাবে বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন, দেশের মানুষ মনে করে, আপনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, ততদিনই বাংলাদেশ আলোকিত থাকবে, এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে।মন্ত্রী বলেন, আমি সব জায়গায় একটি ধ্বনি শুনেছি, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু মাত্রই শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাবে। তবুও কথা শেষ হবে না। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে ধারণ করি সেভাবেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনারা দুই বোনকে হৃদয়ে ধারণ করি।তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন। সেটা যে কতটা আবশ্যকীয় তা আজ সবাই অনুধাবন করছেন। আমাদের নতুন প্রজন্ম মাথা উঁচু করে বলতে পারবে বঙ্গবন্ধুর দেশ, বাংলাদেশের মানুষ আমরা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেজগাঁও বা পুরান ঢাকা থেকে কিংবা ঢাকার যেকোনো অঞ্চল থেকে এয়ারপোর্ট যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগত। আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হলো। এখন ১০ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যাবে।তিনি বলেন, আমি পৃথিবীর যেখানেই গিয়েছি সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শুনেছি। সবাই জিজ্ঞাসা করেন, কীভাবে একটা অনুন্নত দেশ, ২০০৮ সালে যেখানে মাত্র ৫৬০ ডলার ছিল মাথাপিছু আয়, সেখান থেকে টেনে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তিনি যা বলেন, তাই তিনি বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দেন বলেই দেশের মানুষ হৃদয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভালবাসে।
প্রধানমন্ত্রীকে ভিসনারি নেতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের উক্তি ছিল, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলছেন, যদি কিছু দেখতে চাও, দেশকে যদি উন্নত করতে চাও, তাহলে বাংলাদেশে যাও। শেখ হাসিনার দেশে যাও। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা, কৌশল।আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নাফ নদীকে রক্তে রঞ্জিত করার দৃশ্য দেখেছিলাম। সেদিন আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম। আপনি বলেছিলেন, আসতে দাও, আমরা যদি খেতে পারি, তাহলে ওদেরও খেতে দিতে পারব, শেয়ার করব। সেদিন থেকে আপনি মাদার অব হিউমিনিটি নামে দীক্ষিত হয়েছেন। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি।বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা আপনি চালু করে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। সে কারণে আজকে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ চলে এসেছে।উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।