গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন,রাষ্ট্র ও সাংবাদিকতা একে অপরের পরিপূরক।এছাড়া প্রযুক্তির বিকাশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বাস্তব প্রতিফলন মোবাইল সাংবাদিকতা।কারণ আধুনিক স্মার্ট অনুষঙ্গ মোবাইলের মাধ্যমে সাংবাদিকতার ব্যাপ্তি বেড়েছে। আজ রোববার (২৭ আগস্ট) প্রেস ইনস্টিটি্উট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকদের তিন দিনব্যাপী মোবাইল সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষনের সমপান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, সাংবাদিকদের মোবাইল সাংবাদিকতার জন্য কি কি দক্ষতা প্রয়োজন তার ন্যূনতম ধারণা পেয়েছে এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
তিনি মোবাইল সাংবাদিকতাকে স্মার্ট ধারণা হিসেবে অভিহিত করেন। এবং পাশ্চাত্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিভাবে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদেরকে মোবাইল সাংবাদিকতায় দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন।স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে মোবাইল সাংবাদিকদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান প্রেস ইনস্টিটি্উট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, যিনি স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদনা ও প্রচারের কাজ করে থাকেন, তাকে মোবাইল সাংবাদিক বলা হয়। আর এই কাজকে বলা হয় মোবাইল সাংবাদিকতা।তিনি আরও বলেন,বর্তমানে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং জনপ্রিয় সংবাদ পরিবেশনের পদ্ধতি হল মোবাইল সাংবাদিকতা। যার মাধ্যমে প্রতিবেদক মুহূর্তেই ইলেকট্রনিক যন্ত্র এবং ইন্টারনেটের সহায়তায় সংবাদ দ্রুত পৌঁছে দিতে পারছে।জাফর ওয়াজেদ বলেন, ইন্টারনেটের বদৌলতে ফেইসবুক, টুইটার, ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার, ইনস্ট্রাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য মোবাইল ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। সাংবাদিকদের নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ত্বের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নিজেদের সমৃদ্ধ হওয়ার বিকল্প কিছু নেই ।
অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর পরিচালক (প্রশাসন) চলতি দায়িত্ব মো.জাকির হোসেন,অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক(চলতি দায়িত্ব) শেখ মজলিশ ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন। পিআইবি’র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দীনের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।