প্রায় দুই বছরের মধ্যে পাইপালাইন দিয়ে চট্রগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে জালানী তেল সরবরাহ – নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু
দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানী তেলের সরবরাহ নিশ্চত করার জন্য সরকার চট্রগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল মেঘনা ডিপো পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন করছে। এরই মধ্যে পাইপলাইনের অনেক কাজ এগিয়ে গেছে। আগামী দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে পাইপালাইন দিয়ে চট্রগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে জালানী তেল সরবরাহ হবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। পাইপলাইনে তেল সরবাহ করা হলে পরিবহন খাতে জ্বালানী তেলের দাম অনেক সাশ্রয়ী হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের সাথে তেলের দাম সমন্বয় করে দাম নির্ধারনের কাজ চলেছ। দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল মেঘনা ডিপোর রিসিভার টার্মিনাল স্থাপনের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইন স্থাপন সম্পন্ন হলে জ্বালানি সরবরাহে ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে পতেঙ্গা থেকে গভীর সমুদ্র বন্দরে ডিপসীল পাইপলাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগে বড় মাদার ব্রেসেল থেকে ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে তেল নিয়ে পতেঙ্গাতে আসতো । সেখান থেকে গাড়িতে বা ছোট ছোট জাহাজে করে বিভিন্ন ডিপোতে সরবরাহ করা হতো। মাদারব্রেসেল বা বড় জাহাজ ১২ -১৪ দিন বসে থাকার কারনে ডেমারেজ গুনতে হতো। সীপসীল পাইলাইন স্থাপনের কারনে খরচ কমে আসবে। এছাড়া পাইপালাইনের মাধ্যমে চট্রগ্রাম পতেঙ্গা থেকে গোদনাইল এবং গোদনাইল ডিপো থেকে বিভিন্ন জায়গার সরবরাহ করা হবে। এতে করে তেল পরিবহনে খরচ অনেক কমে আসবে। প্রাইজে সেভ হবে।
পরে মন্ত্রী শিবু মার্কেট এলাকায় তেল সরবরাহেব পাইপলাইনের কাজ ও ফতুল্লার মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো প্রস্তাবিত রিসিভ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ জায়গা পরিদর্শন করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের সচিব সহ বিপিসির ও সেনাবাহনীর ইঞ্জনিয়ারিং কোরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।