ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি সম্পর্কিত একটি অনুরোধ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে জমা দিয়েছে আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক। আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
২৫ বছর ধরে আল-জাজিরার সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন শিরিন। গত ১১ মে দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অভিযানে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করছিলেন তিনি। ঘটনাস্থলে থাকা তার সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ইহুদি বাহিনীর গুলিতে শিরিনের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) ও আল-জাজিরা।খবরে বলা হয়েছে, আইসিসির কাছে আল জাজিরার দেওয়া অনুরোধে ছয় মাসের তদন্তের দলিল, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য-প্রমাণ ও ভিডিও ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।সংবাদমাধ্যমটির আইনজীবী রডনি ডিক্সন কেসি জানিয়েছেন, অনুরোধ পত্রে আল জাজিরা ও ফিলিস্তিনের সাংবাদিকদের ওপর ব্যাপক হামলার তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১ সালের ১৫ মে আল জাজিরার গাজা অফিসে বোমা হামলার মতো ঘটনাও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।কেসি বলেন, এটি একক কোনো ঘটনা নিয়ে করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডটিও একটি বিস্তৃত প্যাটার্নের অংশ ছিল। তাই এ হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের চিহ্নিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে প্রসিকিউশনকে তদন্ত করা উচিত। অনুরোধে শিরিনের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, বিশেষ করে জঘন্য হত্যাকাণ্ডের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। আমরা যেসব প্রমাণ উপস্থাপন করেছি তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা হিসেবে আল জাজিরাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয়, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমটিকে বন্ধ করে দিতে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।
আল-জাজিরা আশা করে, আইসিসির প্রসিকিউটর তাদের অনুরোধ আমলে নিয়ে মামলার তদন্ত শুরু করবে।সম্প্রতি ফিলিস্তিনের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক শিরিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ঘটনার পাঁচ মাস পর প্রথমবারের মতো ঘটনাটি স্বীকার করে ইহুদি রাষ্ট্রটি।