নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনার ১৩ বছর পর আদালতে দাখিল করা চার্জশীটের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত চেয়েছেন ওই ঘটনায় আহত এমপি শামীম ওসমান।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ে আজ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরে আমি সাক্ষ্যতে যে জবানবন্দী দিয়েছিলাম এখন দেখি বিচার চলাকালে সেই কথা কিছুই নাই। আমাদের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। ফলে আমি চাই এ ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী তাদের যেন বিচার হয়। আর যিনি দোষী না তিনি যেন আমার প্রতিপক্ষ হলেও যেন সাজা ভোগ না করে। আদালত আমার বক্তব্য শুনে কনভেন্স হয়েছেন। আদালত পরে ওই আদালতের এপিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিটিশন দেওয়ার জন্য।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আগে যে তদন্ত হয়েছে সেই তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার বক্তব্য ঠিকমত তুলে ধরেনি। আমি কোন সমঝোতা করবো না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিকে বলেছি আমি এ চার্জশীট মানি না।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের মেয়াদের শেষদিকে ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
বোমা হামলার পর দিন খোকন সাহা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দুইটি মামলায় (একটি বিস্ফোরক অন্যটি হত্যা) জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারন সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রধান করে বিএনপি ও এর অঙ্গ দলের মোট ২৭ জনকে আসামী করা হয়। হামলায় শামীম ওসমান সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। তার ব্যক্তিগত সচিব চন্দন শীল, যুবলীগ কর্মী রতন দাস দুই পা হারিয়ে চিরতরে বরণ করেছে পঙ্গুত্ব।