বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সারা দেশে সমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হয়ে উঠেছে। এই দেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যেও জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। এসব দলের নেতারা আফগানিস্তানের তালেবানের মতাদর্শে বিশ্বাস ও লালন করে। তারা দেশটাকে আফগানিস্তান বানাতে চায়।বিএনপির আমলে দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময়ে দেশের ৫০০ জায়গায় বোমা ফুটিয়ে জঙ্গিরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল। এমনকি জঙ্গিদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। মহাসমাবেশ বানচাল করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার আজগুবি মামলা দিচ্ছে-দলটির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা যাতে সমাবেশ নির্বিঘ্নে করতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বরের বদলে ৬ ডিসেম্বর করেছেন। ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এরপর সেই মঞ্চ-প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলা হলে বিএনপি যাতে সময় নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ বানাতে পারে। যে কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন নির্ধারিত তারিখ থেকে দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ হলেও এগিয়ে আনা সহজ না। কারণ এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা থাকে। কিন্তু আমরা সেই কাজটি করেছি।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে আমরা যখন সমাবেশ করতাম, তখন তাতে গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালানো হতো। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হতো। আমাদের সহজে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। রাসেল স্কয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ হামলা চালাত। সেই ছবিগুলো আপনারাই (সাংবাদিক) সংগ্রহ করেছেন।নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করার যে জেদ ধরে আছে, কিন্তু সরকার চাইছে তারা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করুক, এক্ষেত্রে সমাধান কী হবে; জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করার সুবিধার কথা ভেবেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। তারা যেই সমাবেশ করার কথা বলেছে, ১০ লাখ মানুষ জড়ো হবে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দীতে ১০ লাখ মানুষ ধরার জায়গা নেই। কিন্তু ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় মাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। তারা যে ধরনের সমাবেশ করতে চায়, সেক্ষেত্রে পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলার মাঠ ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই। তারপরও সরকার সৎ উদ্দেশ্যে তাদের সমাবেশ করার সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে।