সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হলো। আজ মঙ্গলবার (২৯ নম্ভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ৩০ জন কুয়ালালামপুর গেছেন। প্লান্টেশন সেক্টরে কাজের উদ্দেশ্যে এই কর্মীদের পাঠিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল।জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১ হাজার কর্মীর চাহিদা আসলেও প্রাথমিকভাবে অল্প পরিমাণে তিনটি ফ্লাইট যাবে মালয়েশিয়ায়। আগামীকাল এবং পরশু দুটি ফ্লাইটে ৩০ জন করে মালয়েশিয়ায় যাবেন মোট ৬০ জন কর্মী। মালয়েশিয়ার পাম বাগান ও চা বাগানে কাজের জন্য কর্মীর চাহিদা আছে বলেও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে।
কর্মীদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বোয়েসেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। ইতোমধ্যে ছয়টি কোম্পানি থেকে প্রায় ১ হাজার কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন জেলায় জবফেয়ারের মাধ্যেমে কর্মীর তালিকা সংগ্রহ করার মাধ্যমে ৭০০ কর্মীকে প্রস্তুত করা হয়েছে।‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিফ্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’ আওতায় বোয়েসেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর খরচ প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্লান্টেশন (ইউপি) থেকে ইতোমধ্যে ৫৫০ জন কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় যাওয়া সংক্রান্ত সব ব্যয় ইউপি কোম্পানিটি বহন করছে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেল-এর মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়া গমন করছে।