৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার | সন্ধ্যা ৭:৪২ মিনিট
ঋতু : শীতকাল | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিরোনাম :
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ সিটি করপোরেশন পরিচালনায় কমিটি, কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকবেন যিনি কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে, আইন ভাঙলে ব্যবস্থা’ রেমিট্যান্স নিয়ে আবারও সুখবর চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা বাহিনীর হাতে সোনারগাঁও উপজেলা  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর গ্রেপ্তার বন্দরে পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যাটারী কারখানা বন্ধের নোটিশ সড়ক যেন অপরাধীদের কবলে ! এ যেন মরন ফাঁদ!!  মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়ক|| পুলিশী টহল বৃদ্ধির আশ্বাস ওসির… সাবেক এমপি শামীম ওসমানের স্নেহভাজনআলীর বিএনপি নেতা হওয়ার খায়েশ পূর্বাচলের অস্ত্র উদ্ধার মামলা৭ বছরেও অস্ত্রের উৎস মেলেনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস মিরপুরে নয় কানপুরেই শেষ সাকিবের ক্যারিয়ার! অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল মারা গেছেন পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে নার্সসহ আহত ১৪ দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন কখন হবে সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত : জয়নুল ফারুক স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি শাসন পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানব বানিয়েছে : জিএম কাদের

সরকার সংকট সমাধানে অক্ষম: আ স ম রর

ncitynews24.com
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২ | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ও সমস্যার গভীরতার প্রেক্ষিতে  ‘অংশগ্রহণমূলক কৌশল’ প্রণয়নে অংশিজনসহ বৃহত্তর মতৈক্য স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বিবৃত প্রদান করেন।রাজনৈতিক বিবেচনায় অপরিণামদর্শী মেগা প্রকল্প গ্রহণ, দুর্নীতি, অপচয় ও অর্থপাচারে মধু লোভী কার্যক্রম (রেন্ট সিকিং) এবং সরকারের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতাহীন দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ফলে দেশকে ঋণের জালে আবদ্ধ করেও সরকার সংকটের সমাধান দিতে পারবে না।

বাংলাদেশে  স্বল্প সময়ের মধ্যে এবং দ্রুত হারে রিজার্ভ কমে যাওয়া বড়ই উদ্বেগের বিষয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না। শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে বা বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে বা জোড়াতালি দিয়ে এই সংকটের সমাধান হবে না। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়- গোটা শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করেই এই সংকটের সমাধান খুঁজতে হবে। এই ধরনের জাতীয় সংকট জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।   বৈদেশিক ঋণ বাংলাদেশের আর্থিক বাস্তবতা মোকাবিলা করার জন্য যথোপযুক্ত নয়। এর জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে হবে।  আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক এমনভাবে বিধি-বিধান তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যাতে সংকটাপন্ন দেশসমূহের দুর্বলতা এবং ব্যর্থতা সুযোগে তারা নিজস্ব মনোভাব ও চিন্তাধারা বিশেষ করে অর্থনীতি ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিতে পারে।উল্লেখ্য, আইএমএফ বেইলআউট এর মত কর্মসূচিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করলেও ভুখা নাঙ্গা মানুষের খাদ্য ভর্তুকি বা সার বীজ কীটনাশক ঔষধে কোন ভর্তুকি দিতে উৎসাহী হয় না। ঋণ দাতারা তাদের সুদের হার ও ঋণ ফেরত পাওয়া নিয়েই উদ্বিগ্ন থাকে, সংকট বা দারিদ্র দূরীকরণের জন্য নয়।

সারাবিশ্বে বহু উন্নয়ন মডেল রয়েছে, একেক দেশের সাথে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যও রয়েছে। সব দেশে এক ধরনের মডেল গ্রহণযোগ্য নয়।তাই বাংলাদেশে উদ্ভূত অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নে, আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণে, দারিদ্র ও অসমতা দূরীকরণে এবং সামাজিক নীতি কৌশল প্রণয়নে অংশিজনসহ বৃহত্তর ঐকমত্য প্রয়োজন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল, প্রযুক্তিবিদ, অর্থনীতিবিদ, কৃষিবিদ, ব্যবসায়ী সংগঠন সমূহের প্রতিনিধি, শিল্প কল -কারখানার প্রতিনিধি, ব্যাংকার সংগঠনের প্রতিনিধি এবং শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ‘অংশীদারিত্বের উন্নয়ন মডেল’ প্রবর্তন করতে হবে।এ লক্ষ্যে সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।