গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সুশাসন ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এ ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়টি সঠিক ভাবে দেখভাল করতে হবে। দুপুরে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়টি স্থানীয় চিকিৎসকরা সঠিকভাবে জানেন না। এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ট্রেনিং দিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ একটি বড় অঞ্চল। কিন্তু এখানে বার্ন ইউনিট নেই। প্রত্যেক জেলায় বার্ন ইউনিট করতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন।
এদিকে, মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত স্থানীয় দৈনিকের ফটো সাংবাদিক নাদিম আহমেদের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকাবাসি।