৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার | সন্ধ্যা ৬:১৮ মিনিট
ঋতু : শীতকাল | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিরোনাম :
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ সিটি করপোরেশন পরিচালনায় কমিটি, কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকবেন যিনি কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে, আইন ভাঙলে ব্যবস্থা’ রেমিট্যান্স নিয়ে আবারও সুখবর চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা বাহিনীর হাতে সোনারগাঁও উপজেলা  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর গ্রেপ্তার বন্দরে পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যাটারী কারখানা বন্ধের নোটিশ সড়ক যেন অপরাধীদের কবলে ! এ যেন মরন ফাঁদ!!  মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়ক|| পুলিশী টহল বৃদ্ধির আশ্বাস ওসির… সাবেক এমপি শামীম ওসমানের স্নেহভাজনআলীর বিএনপি নেতা হওয়ার খায়েশ পূর্বাচলের অস্ত্র উদ্ধার মামলা৭ বছরেও অস্ত্রের উৎস মেলেনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস মিরপুরে নয় কানপুরেই শেষ সাকিবের ক্যারিয়ার! অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল মারা গেছেন পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে নার্সসহ আহত ১৪ দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন কখন হবে সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত : জয়নুল ফারুক স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি শাসন পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানব বানিয়েছে : জিএম কাদের

লক্ষ্য অর্জন না করে ঘরে ফিরে যাব না: মির্জা ফখরুল

ncitynews24.com
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২ | আপডেট: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

বিএনপির যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নেতা কর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করারও আহ্বান জানান তিনি।আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপি আয়োজিত ওই সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন। আমাদের আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। গণতন্ত্রকে পেতে হলে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে ত্যাগ স্বীকার করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাই ৭ নভেম্বরে আমরা এই শপথ গ্রহণ করি-আমরা সেই লক্ষ্যকে অর্জন না করে, এই সরকারের পদত্যাগকে নিশ্চিত না করে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে না এনে ঘরে ফিরে যাব না।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই অনির্বাচিত সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে, আমাদের বুকের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে, হত্যা করে, গুম করে, অসংখ্য নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান।’ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই আন্দোলনে আমাদের অনেকেই এরই মধ্যে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের লোকেরা পায়ে হেঁটে সমাবেশগুলোতে যোগ দিচ্ছে। তাদের একটাই দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৯৭১ সালে রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থ হয়েছিলেন, তখন মেজর জিয়া সফল হয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে, দেশ স্বাধীন করেছিলেন, ৭৫ এ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যর্থতায় জিয়া সফল হয়ে ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন, সেই চেতনায় দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।