বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য দিচ্ছেন অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটে। পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোকেও আশঙ্কাজনকভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হতে হচ্ছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। যার অভিঘাতে আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটের মুখোমুখি বাংলাদেশও। বৈশিক এই সংকটময় পরিস্থতি বিবেচনা না করে বিএনপি নেতারা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে নানা ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। কথা কথায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন।বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশের সরকারই কী তাহলে পদত্যাগ করকে? সব দেশে সরকার পদত্যাগ করলে সমগ্র বিশ্বই তো সরকারবিহীন হয়ে পড়বে। নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর সব রাষ্ট্র সরকারবিহীন চলতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে সব দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব হলো ধৈর্যের সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করা।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিটি বিরোধী দলেরই দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে। কিন্তু বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করে তাদের চিরায়ত মিথ্যাচারের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন। দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। স্বার্থবিরোধী নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছেন। যাদের সময় বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করার জন্য মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল, যারা জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিটও বিদ্যুৎ জোগান দিতে পারেনি, তারা আজকের সংকট নিয়ে অর্বাচীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সংকট মোকাবিলায় অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।