রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসা ব্রুনাইয়ের সুলতান জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে দুপুর ২টার পর সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারাও সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ব্রুনাই সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেয়। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হয়।সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে আসা হবে। ঢাকায় অবস্থানকালে সুলতান এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন হোটেলের সভাকক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্রুনাইয়ের সুলতান বলকিয়াহ। পরে তিনি বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।রাষ্ট্রপ্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া দশটায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানাবেন।সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করবেন।পরে পিএমও’র চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুলতানের তিন দিনের সফর বিশেষ গুরত্বপূর্ণ, কারণ অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে করোবীতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দুই দেশের নাবিকদের সনদ দেওয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সুলতান সেখানে ‘দর্শনার্থী বইতে’ স্বাক্ষর করবেন।সুলতান ১৭ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবেন। ঢাকা ত্যাগের আগে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বিদায় জানাবেন।