পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন কিনা, আগেই জানার চেষ্টা করছে সরকার।তিনি বলেন, যেহেতু জিও হয়েছে, তার (আইজিপি) যাওয়ার পরিকল্পনা। কোনো রকম অসুবিধা না হলে আমরা আশা করছি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।
সোমবার (৮ আগস্ট) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।সচিব বলেন, মানবাধিকার ইস্যুতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো ধরনের অপপ্রয়োগ থাকলে সেটিও কমাতে চায় ঢাকা।প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজিপি বেনজীর আহমেদ ছাড়াও আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ উপ-মহাপরিদর্শক নাসিয়ান ওয়াজেদ ও সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাসুদ আলম।এ প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী ৩০ আগস্ট বা তার কাছাকাছি সময়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তারা। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে প্রতিনিধি দলটি। এরইমধ্যে এ বিষয়ে জিও জারি হয়েছে।
তবে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ২০২১ সালের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, বৈদেশিক কার্যক্রম ও এ সংক্রান্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক আইনের ৭০৩১ (গ) ধারা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী জাতিসংঘের সম্মেলন বা বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের ভিসা দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা আছে।তবে বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিদের ভিসা না দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে। সেই হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদকে ভিসা দিতেও পারে, আবার নাও দিতে পারে।এর আগে গত শনিবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় তিন দেশের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন সিসন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা শাখা) নায়েম উদ্দিন আহমেদ।জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসহ পারস্পরিক অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে এই সফর করছেন তিনি।