বন্দরে র্যাব- ১১ অভিযানে বেঁদে গৃহবধূ
ফাতেমা হত্যা মামলার ঘাতক স্বামী মোর্শেদ গ্রেপ্তার
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে বেঁদে সম্প্রদায়ের গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী মোর্শেদ (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গত শনিবার (৬ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া বাজার খেয়াঘাটে অভিযান চালিয়ে গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান এজাহারভ্থক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। যার মামলা নং- ৮(৮)২২। ধারা- ৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০। গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক স্বামী মোর্শেদ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ধলেরশ্বরী এলাকার সিরাজ মাতবর মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার দুপুরে ওই মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার বেঁধে নোয়াব মিয়ার মেয়ে ফাতেমার সাথে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ধলেরশ্বরী এলাকার সিরাজ মাতবর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফাহিম (৭) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টায় ঘাতক স্বামী মোর্শেদের মামা আকবর মিয়া মামলার বাদিনী ননদের স্বামী গিয়াস উদ্দিনের ০১৯৪২৯০৩১৩৪ নাম্বার মোবাইল ফোনে দিয়ে গৃহবধূ ফাতেমা বেগম অসুস্থ্য বলে জানায়। এর দুই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৩টায় স্বামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা উল্লেখিত নাম্বারে আবার জানায় তাদের মেয়ে ফাতেমা বেগম মারা গেছে। এ সংবাদ পেয়ে নিহত গৃহবধূর পিতা/মাতাসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা ৩১ জুলাই সকাল ৮টায় স্বামীর বাড়িতে এসে লাশ দেখতে পায়। সে সাথে লাশের গলায় আঘাতের চিহিৃসহ নাক, কান ও গলা দিয়ে তরল পদার্থ দেখতে পায়। গৃহবধূর স্বজনরা লাশ দাফনের জন্য মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে চাইলে ওই সময় ঘাতক স্বামী, শ্বশুড়/ শ্বাশুড়ীসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা লাশ দিতে অনিহা প্রকাশ করে তড়িগড়ি ভাবে লাশ দাফন করে ফেলে। এ ছাড়াও ঘাতক স্বামী মোর্শেদ, শ্বশুড় সিরাজ মাতবর ও শ্বাশুড়ী কাজলী বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে শাররিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।