রাজধানীর উত্তরার মূল সড়ক অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয়রা। এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেফটিক ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধারের জেরে সড়কটি অবরোধ করা হয়।
বুধবার দুপুর থেকে উত্তরার মূল সড়কে অবস্থান নেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রিফাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। তিন দিন আগে ছেলেটি বন্ধুদের সঙ্গে অপর একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে খেলতে যায়। বাড়িওয়ালার আঘাতে রিফাতের মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাড়িওয়ালা তার বাড়ির পানির ট্যাংকে ফেলে দেয় মরদেহ। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রথমে মামলা না নেয়ায় বিক্ষোভ করা হয়। বর্তমানে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা সড়ক অবরোধ করেছে।
সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা, ‘গরিবের বিচার হয় না, গরিবের বিচার হয় না’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক মণি আরা জাগো নিউজকে বলেন, উত্তরার সড়কটি এখনো অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্থানীয়রা। যে সড়কটি অবরোধ করা হয়েছে সেটি উত্তরা পূর্ব থানায় অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে সেটি দক্ষিণখান থানায় ঘটেছে। তাই তারা ভালো বলতে পারবে।
জানতে চাইলে দক্ষিণখান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল গনি জাগো নিউজকে বলেন, এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝির কারণে সড়কে অবস্থান নিয়েছে স্থানীয়রা। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর এর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মঙ্গলবার একটি মামলা নিয়েছে পুলিশ। মামলা নম্বর ৪৯। তারপরও তারা না বুঝে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জড়ো করে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
সর্বশেষ বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরুদ্ধ রয়েছে। ফলে বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।