বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এটি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর হবে। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্ক থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ-ভারত শুধু সীমান্ত সম্পর্কে আবদ্ধ নয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি রচনা করে। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সৃদৃঢ় ও গতিশীল হয়েছে। তিনি জানান, প্রতিবেশী দুই দেশের সুম্পর্কের অনন্য নিদর্শন হিসেবে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এই সফর করবেন। এই রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গী হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানতে পেরেছি। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর এটি হবে বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা অবগত রয়েছেন যে, ২০২১ সালের ২৬ এবং ২৭ মার্চ ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সফর করেন। একই বছরে একটি দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিবেশী দেশে রাষ্ট্রীয় সফর যেকোনো দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ভারতের পক্ষ থেকে এসব সফর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রতিফলন। বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ ধরনের সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের খাতায় মাইলফলক অধ্যায় হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে উল্লেখ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন।