মালয়েশিয়ায় প্রফেশনাল ভিসায় কাজ করতে আসা কর্মীদের সর্বোচ্চ ১২ মাস অর্থাৎ ১ বছরের জন্য ভিসা দেয়া হবে। এরপর কোম্পানি ইচ্ছা করলে কর্মীর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে পারবে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় শুক্রবার বিজ্ঞপিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক্সপাট্রিয়েট সার্ভিস ডিভিশনে অনলাইনের মাধ্যমে এ ভিসার আবেদন করতে হবে। গত ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এ নিয়ম কার্যকর করেছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশি ছাত্রদের ৬ মাসের জন্য ভিসা দেবে এবং ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করবে না। ফুড অ্যান্ড বেভারেজ রেস্টুরেন্ট/ক্যাফে/কনভেনশন সেন্টার ছাত্রদের প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত নয়। এসব শর্ত পূরণ না হলে ভিসা ইস্যু করবে না।
জানা গেছে, প্রফেশনাল ভিজিট পাশের (পিভিপি) নামে বিদেশ থেকে অযোগ্যদের মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে এক্সপার্ট হিসেবে প্রফেশনাল বানিয়ে মালয়েশিয়া প্রেরণ করে। এরা প্রকৃতপক্ষে কোনো কোম্পানির অধীনে থাকে না। নিয়মানুযায়ী আয়কর প্রদান করে না এ কারণে পরের বছর ভিসা বর্ধিত করতে পারে না। ফলে অবৈধ হয়ে যায়।
স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন হোটেল/রেস্টুরেন্টে প্রশিক্ষণার্থী ছাত্র হিসেবে ৬ মাসের স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রেরণ করে। ছয় মাস পর এই ভিসা মেয়াদ বৃদ্ধি হয় না। ফলে তারাও অবৈধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে অবৈধ নাগরিকদের পাশাপাশি নানান এজেন্ট ও দালালদের গ্রেফতার করছে।
উল্লেখ্য, পিভিপি এবং প্রশিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসায় প্রেরণের ক্ষেত্রে বিএমইটি বা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি যেমন লাগে না তেমনি হাইকমিশন থেকে সত্যায়নের প্রয়োজনও হয় না।
ফলে কারা কোন ভিসায় কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে তা নির্ণয় করা যায় না। সরকার নির্ধারিত মাইগ্রেশন নিয়মের বাইরে রয়ে গেছে। এ বিষয়ে দেশ ত্যাগের পূর্বে খোঁজ নিয়ে আসার জন্য মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘মিথ্যা পরিচয়ে অযোগ্য লোক প্রেরণের ফলে এরা যেমন প্রতারণার শিকার হচ্ছে, অবৈধ হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির দুর্নাম হচ্ছে।’ বাংলাদেশ সরকারকে আইনের বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন এ কমিউনিটি নেতা।