নারায়ণগঞ্জে লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং, যানবাহন চলাচল, দোকান বা মার্কেট বন্ধ রাখতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ জেলা প্রশাসনের ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট৷ বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ৷ লকডাউন চলাকালীন সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান ডিসি৷
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
সারাদেশে ঘোষিত সর্বত্মক লকডাউন কার্যকর করতে নারায়ণগঞ্জে বেশ তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা৷ সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ৷ টহল দিচ্ছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (ব়্যাব)৷ জেলা প্রশাসনের বিশজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও কাজ করছেন সড়কে৷
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সকালে দশজন এবং বিকেলে দশজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন৷ প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও, এসিল্যান্ডরাও কাজ করছেন৷ বাজার মনিটরিং, যানবাহন যাতে চলাচল না করতে পারে সেসব বিষয়ে কাজ করছেন তারা৷ এছাড়া কাঁচাবাজারে যারা আসছেন তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেসবও নজরদারিতে রাখা হচ্ছে৷
জেলার সকলের উদ্দেশ্যে ডিসি বলেন, জরুরি কাজ ব্যতীত বাসায় অবস্থান করুন৷ লকডাউন চলাকালীন সকল নির্দেশনা মেনে চললে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে৷