হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক জঘন্য ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হত্যা ও ধবংসাত্মক ঘটনার জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছে ভাষানী অনুসারী পরিষদ নামে একটি সংগঠন। পরিদর্শন দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতেই গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের এই সংবাদ সম্মেলন।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুন জ্বলছে তখন আনন্দ ভ্রমণ করছেন হেফাজত নেতা। উনি বলছেন নাস্তিকদের বাঁচার অধিকার নাই,উনার বাবার আছে। এই দেশ উনার বাবা স্বাধীন করেছেন, আমরা করেছি। মামুনুক হকরা হচ্ছেন এজেন্ট। রোম যখন পুরছিল তখন নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিল। আর এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে আর তিনি তখন ফুর্তি করতে গেছেন রিসোর্টে। ফুর্তি করেন আপত্তি নাই,কিন্তু ন্যায্য বউ নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে থাকা নারী তার প্রকৃত স্ত্রী কীনা তারও প্রমাণ দিতে বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক।
এতে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, হেফাজতের সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন ছিল। তিনি বলেন, হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রেলস্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও ৩ এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান? তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোনো তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত?
সহিংসতায় আমলাদের ইন্ধন ছিল বলেও জানান তিনি। জাফরুল্লাহ বলেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দিন। সেখানকার এমপি একজন আমলা। তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী।