ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরকারি অস্ত্রসহ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব থেকে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যুরাল ভাঙার শাবল ও মাদকদ্রব্যসহ ওই যুবককে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ এর সদস্য বেলায়েত হোসেন। তিনি জানান, বেলা ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার ছাত্রের মিছিল বের হয়। তারা শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে হামলে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে। সেটি ভেঙে আগুন দেয়ার পাশাপাশি তারা আগুন দেয় শহরের রেলস্টেশন, আনসার ক্যাম্প ও মৎস্য অধিদপ্তরে। হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হয়। পরদিন মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের ওপর হামলে পড়ে মাদ্রাসাছাত্ররা। তখন পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারায় পাঁচজন। নিহত ব্যক্তিদের নিজেদের কর্মী দাবি করে প্রতিবাদে রোববার হরতাল ডাকে হেফাজত। হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে ব্যাপক তাণ্ডব।সেদিনও তারা বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সবগুলো স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয় আগুন। হামলা চলে পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, গণগ্রন্থাগার, সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ‘সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন’ ও মিলনায়তন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের অফিস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি এবং সরাইলের খাটিহাতা হাইওয়ে থানায়।