বশেষে সোনারগাঁও রয়েলে রিসোর্ট এর হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে অবরুদ্ধ মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে হেফাজতের শত শত কর্মী। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার খবরে হেফাজতের কয়েকশত লোকজন মাগরিবের নামাজের পর রয়েল রিসোর্টে হামলা চালায়।
এদিকে হেফাজতের লোকজনের আসার খবরে পাালিয়ে গেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁও উপজেলা ইউএনও আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড মোস্তফা মুন্নাসহ প্রশাসনের লোকজন।
এসময় কয়েকশত হেফাজত কর্মী ম্লোগান দিয়ে সোনারগাঁও থানা ঘেরাও করতে চাইলে মামুনুল হক একটি হ্যান্ড মাইকে তাদের শান্ত হতে বলেন। এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বারন করেন। তিনি বলেন, আমি প্রমান করবো আমার সাথে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। তাছাড়া স্ত্রীকে নিয়ে আমি যেখানে সেখানে ঘুরতে যেতে পারি। কিন্তু ছাত্রলীগ-যুবলীগের উচ্ছৃংখল লোকজন আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেছে। আমি আইনগতভাবেই বিষয়টি দেখবো।
পেরে হেফাজতের লোকজন মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে মোগরাপাড়া হাবিব পুর ঈদগাঁও মাঠে জমায়েত হয়। সেখানে হেফাজতের নেতারা বক্তব্য রাখার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে মামুনুল হক তার স্ত্রীকে তুলে দেন। তারা ঢাকার দিকে চলে গেছেন।
এদিকে পুলিশ দাবী করেছে, তারা মামুনুল হককে ছেড়ে দিয়েছেন। আর হেফাজতের নেতাকর্মীরা বলছেন তারা জিম্মিদশা থেকে মামুনুল হককে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতের নিয়ে গেছেন। বরং হেফাজতের হাজার হাজার লোকজনের কাছে অসহায় ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে প্রশাসন।
এদিকে মামুনুল হক দাবী করেছেন তার সাথের নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বার বার তিনি কথাটি বললেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তার কথায় পাত্তা না দিয়ে বিয়ের কাবিন দেখতে চান। মামুনুল হক বলেন তিনি ইসলামী শরীয়া মতে দুই বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
ওদিকে হেফাজতের দাবী পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিডিয়াকে খবর দিয়ে এনে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে।