দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ালো হলেও এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ৬ মাস স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে, সাজা স্থগিত করা হলেও তিনি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে যেতে পারবেন না। ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে দেশের যে কোনও হাসপাতালে প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন খালেদা জিয়া।
গেল ২রা মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পর তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ছয় মাসের সাজা স্থগিতের সুপারিশ করে তা ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আজ ১৫ মার্চ খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফায় সাজার স্থগিতের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আগের দুই শর্তেই সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।