চোরাইকৃত মালামাল সহ ৪ চোর গ্রফতার
এমদাদুল হক মাসুম, ডোমার প্রতিনিধি>> নীলফামারীর ডোমারে ৪ চোর আটক এবং চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডোমার থানার এসআই শাহ আলম, কমলেশ, এস,আই সাইফুল সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে চোরদের আটক করাহয়। আটককৃতরা হলেন, ছোট রাউতা গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মানিক ইসলাম (৩৬), ছোটরাউতা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে সুমন (১৯), একই এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে মহিবুল ইসলাম বাবু (১৯) ও তার ভাই রেজাউল করিম রাজু (২৬)। ডোমার থানা সুত্রে জানাযায়, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে শহরের আন্ধারুর মোড় এলাকায় মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে চুরি হয়। চুরির পর উক্ত হাসপাতালের ম্যানেজার কোরবান আলী ডোমার থানায় সাধারণ ডায়রী নং- ১০৪৩, তারিখ- ২০/০১/২১ দায়ের করে। এরই সুত্র ধরে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে ছোট রাউতা গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মানিক ইসলাম (৩৬) কে প্রথমে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী একদল পুলিশ রেজাউল করিম রাজুর বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তার বাড়ি থেকে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে চুরি যাওয়া এলইডি টিভি, ওয়াটার পাম্প, গ্যাস সিলিন্ডার, চুলাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে। এ দিকে গত ২৭/১২/২০ তারিখে আন্ধারুর মোড় এলাকার শমর কর্মকারের দোকান চুরি হয়। রাজুর বাড়ি থেকে শমর কর্মকারের দোকান থেকে চুরি যাওয়া ২টি বাইসাইকেল, চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, তেল, সাবান উদ্ধার করে। এসময় রাজুর বাড়িতে তল্লাসি চালালে ৮ পুড়িয়া হিরোইন উদ্ধার করে। যার ওজন ৩.৭০ গ্রাম। এবিষয়ে রাজুর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২২) কে আটক করে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান মালামাল চোর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য এবং রাজু ও তার স্ত্রী মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পঠানো হয়। ওই চক্রের অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা অব্যাহত আছ।