ঢালিউডের অন্যতম সেরা সুন্দরী চিত্রনায়িকা পপি। বয়সের কোটা ৪০ পেরোলোও এখনো তিনি অবিবাহিত। যার কারণে প্রায়ই তিনি ভক্তদের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পান। তবে এবার জিকো নামের এক যুবক যেভাবে পপিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন তা রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার মতো ঘটনা। ওই যুবক পপির উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে তাকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। জিকো দাবি করেছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার অনেক ক্ষমতা। তাকে বিয়ে করলেই নাকি আগামী নির্বাচনে পপিকে এমপি বানাবেন। জিকোর সেই চিঠির বক্তব্য ডিবিসি নিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো।
‘পপি আমি তোমাকে আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। আমি বিএনপি করি। আমার অনেক ক্ষমতা। আমি তোমাকে বিএনপি থেকে এমপি বানাব। তুমি এমপি হয়ে সংসদে যাবে। তুমি জীবনে অনেক স্বপ্ন দেখেছো। শিল্পপতির বা ডিসির বউ হবে। তোমার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আল্লাহপাকের নিয়তির বিধান মেনে একটি রাস্তার ছেলেকেই তুমি বিয়ে কর।’ ‘তুমি ভাবতে পার রাজনীতি করা মানে খারাপ। আমি কোনো খারাপ কাজ করি না, ব্যবসা করি। পপি, ছোট পৃথিবীতে অহংকার করার কিছু নেই। আমি কোনো দিন তোমার একটি কথারও অবাধ্য হব না। তুমি যে ভাবে চলছো ঠিক সেই ভাবেই চলবে। তোমাকে আমি কোনো দিন ফুলের ছোঁয়াও দেব না। তুমি যত ব্যস্ত থাক না কেন আমার সাথে ফোনে কথা বলবে।’ দেশের স্বনামধন্য একটি সংবাদমাধ্যমে চিঠিটি পাঠিয়েছেন জিকো। সেখানে তিনি তার ফোন নম্বরও দিয়েছেন। তবে চিঠিটি পপির হাতে পৌঁছেছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। যদি পৌঁছায়, চিঠি পড়ে কী করবেন পপি? তিনি কি ওই যুবকের প্রস্তাবে সাড়া দেবেন? এর উত্তর জানা যাবে চিঠি পাওয়ার পর নায়িকা মুখ খুললেই। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা। এদিকে বর্তমানে নায়িকা পপির বাসার ঠিকানা খুঁজছেন জিকো। তিনি জানান, ১৫-২০ দিন আগে পপিকে খুঁজতে তার গ্রামের বাড়ি খুলনায় গিয়েছিলেন জিকো। সঙ্গে তার তিন বন্ধু ছিলেন। সেখানে তিনদিন থেকে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন পপিকে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পপি তার মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকছেন। পপির বাসার ঠিকানা নিয়ে কী করবেন এ প্রশ্নের উত্তরে জিকো বলেন, বিয়ের প্রস্তাব দেব। পপির জন্য আমি বিয়ে করিনি। আমার বয়স ৩৬-৩৭ হবে। আর পপিরও ৪০-৪১ হয়ে গেছে। পপি তো শেষ বয়সে চলে আসছে। তাই আমি ওকে বিয়ে করতে চাই। যদি পপি বিয়েতে রাজি না হয় তাহলে কী করবেন জানতে চাইলে জিকো বলেন, ‘সেটা আমার ব্যাপার।’ এর আগে পপি বিয়ে করতে রাজি হলে পপিকে নিয়ে কোথায় থাকবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে জিকো জানিয়েছিলেন, ‘বগুড়া থাকব, ঢাকায়ও থাকব। পপি যেখানে থাকতে রাজি হয় সেখানেই থাকব।’ পপিকে পাঠানো চিঠিতে জিকো লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করব। আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। আমি বিএনপি দল করি, আমার অনেক ক্ষমতা। আমি তোমাকে বিএনপি থেকে এমপি বানাব। তুমি এমপি হয়ে সংসদে যাবে।’
চিঠিতে নিজের ফোন নাম্বার পাঠিয়েছেন জিকো। তিনি পপির সম্মতির অপেক্ষায় আছেন।