জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ লঙ্ঘন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৩৮ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের শুনানি ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। যাচাইযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আগামী ৩০ জানুয়ারি নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও মহানগরীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের পক্ষে সাক্ষ্য এবং তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ পরিবর্তনের তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এখন ৯ জানুয়ারির তারিখটি পরিবর্তন করে ৩০ জানুয়ারি করা হলো।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকা’র সুপারিশবিহীন শুধু বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশিত বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্যই এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনও বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তিনি যাচাই-বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।