দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের কারণ দর্শানোর নোটিশ নিয়ে এখনো কোনো চিঠি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ডিবিসি নিউজকে তিনি জানান, চিঠি পাওয়ার পর এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এর আগে, সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়ে।
সোমবার রাতে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দলের নামে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেজন্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে পাঁচদিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তার স্বাক্ষরে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে জানান রিজভী।
সূত্র জানায়, বিএনপির সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে সোমবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একজনের অংশগ্রহণ ও অন্যজন তাতে সমর্থন করায়, এই দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।
এর আগে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দেয়া নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে শওকত মাহমুদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই পল্টন-গুলিস্তান এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। শওকত মাহমুদসহ ২০ দলীয় জোটের নেতা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীমসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পল্টন মোড়ে সরে গিয়ে রাস্তার ওপর বসে পড়েন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর পুলিশের একটি দল তাদের ধাওয়া দিলে বিক্ষোভকারীরা সরে যায়। এ সময় কোনো গ্রেপ্তার কিংবা আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।