অবশেষে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের অবৈধ ৯১১টি দোকানের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গরবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দোকান মালিক সমিতির বাধার মুখে পড়ে প্রশাসন। ৩ ঘণ্টা পর দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানের পর দুপুর পৌনে ২টার দিকে অভিযান শুরু হয়।
অভিযারের শুরুতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশও এ সময় তাদের উদ্দেশে রাবার বুলেট ছোড়ে। এভাবে ১০-১৫ মিনিট চলার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পুলিশি নিরাপত্তায় স্বাভাবিকভাবে এখন উচ্ছেদ অভিযান চলছে। বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে তারা বাধা দেয়, তখন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আছে।’ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন জানান, ওই মার্কেটে নকশার বাইরে গিয়ে লিফট, সিঁড়ি, টয়লেটের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান তৈরি করা হয়েছে। মার্কেটের এ, বি ও সি ব্লকে (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) এরকম ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করার পর সেগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিন দিন আগে নোটিশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মাইকিংও করা হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে ওই মার্কেটে যায় সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে অভিযান শুরু করতে বিলম্ব হয়। মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে দোকানিরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘রক্ত দেব দোকান ছাড়ব না। রাজপথ ছাড়ব না, ডাইরেক্ট অ্যাকশন।’ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা।