৩৮তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের মাথায় পদ্মা সেতুতে বসল ৩৯তম স্প্যান। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘টু-ডি’ নামে স্প্যানটি ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার অর্থাৎ ৬ কিলোমিটার ছুঁইছুঁই দৃশ্যমান হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৯টার দিকে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে ‘টু-ডি’ নামে স্প্যানটি পিলারের কাছে নেয়া হয়। পরে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে স্প্যানটি ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়।
দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের জানান, ৩৮তম স্প্যান বসানোর ছয়দিনের মাথায় ৩৯তম স্প্যানটি বসানো হলো। এখন আর মাত্র দুইটি স্প্যান বসানো বাকি রইলো। ডিসেম্বর মাসে ১১ ও ১২ নম্বর পিলারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে সেতুতে এক হাজার ৮৪৮টি রেলওয়ে ও এক হাজার ২৩৮টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৮টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালে খুলে দেয়া হবে।