করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষকে মাস্ক পরার জন্য বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বাড়ানোসহ আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। সোমবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সরকারের অবস্থান তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে (ফোর্স করা) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। কারণ মাস্ক না পরলে যত কিছুই করা হোক কাজে আসবে না। সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় মাস্কের বিষয়ে খুব কঠোর হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার (২২ নভেম্বর) বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন এবং গত সাতদিন ধরে জানাচ্ছেন যে, তারা জরিমানা করছেন। গতকালও সারাদেশে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে মাস্ক না পরায় জরিমানা করা হয়েছে। সরকার চলতি সপ্তাহ দেখবে, মানুষকে আরও মোটিভেশন করবে, তারপরে আরও কঠোর শাস্তিতে (স্ট্রং পানিশমেন্ট) যাবে। কঠোর শাস্তির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জরিমানা বাড়তে পারে। এখন ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করছে, সেটি পাঁচ হাজার টাকা করবে। যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন, তারা সঙ্গে মাস্কও নিয়ে যাবেন, যাতে মানুষকে জরিমানা করার সঙ্গে মাস্ক দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেভাবে হোক আরও বেশি প্রচার করেন, ফোর্স হোক, যেভাবে হোক মানুষ যেন মাস্ক ব্যবহার করে। মাস্ক ব্যবহার না করলে ওষুধ কাজ করবে না। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বৈঠকে কভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়।