ম্যাচের দৈর্ঘ্য যত ছোট, আফগানদের শক্তি তত বেশি- এ কথাটি নিয়মিতই শোনা যায় বিশ্ব ক্রিকেটের উদীয়মান শক্তি আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাপারে। যার প্রমাণ মেলে প্রতিনিয়তই। কেননা পঞ্চাশ ওভারের ওয়ানডে ক্রিকেটের তুলনায় বিশ ওভারের টি-টোয়েন্টিতেই যে বেশি উজ্জ্বল আফগানরা।
এর কারণ অবশ্যই দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের আলোকছটা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বসেরাদের কাতারেই ফেলা যায় লেগস্পিনার রশিদ খান, অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাবী কিংবা ব্যাটসম্যান হযরতউল্লাহ জাজাইকে।
আফগানিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা দারুণ খেলেন তারা। সবশেষ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে আফগানিস্তান। সে সিরিজে উজ্জ্বল ছিলেন রশিদ, নাবী, জাজাইরা। যার পুরস্কার মিলেছে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও।
ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডার তিন বিভাগেই শীর্ষ দশে প্রতিনিধি রয়েছে আফগানিস্তানের। এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন রশিদ খান। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ বলে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে সুসংহত করেছেন বোলিং র্যাংকিংয়ে নিজের শীর্ষস্থান। তার বর্তমান রেটিং ৭৮০। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাদাব খানের রেটিং ৭২০। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৬৫৮ রেটিং নিয়ে অবস্থান করছেন র্যাংকিংয়ের সাত নম্বর স্থানে।
অন্যদিকে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ডবুকে তোলপাড় করে ৬২ বলে ১৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন জাজাই। যা তাকে তুলে এনেছে সোজা ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের সাত নম্বর স্থানে। এক লাফে ৩১ ধাপ উপরে উঠে আসা জাজাইয়ের রেটিং ৭১৮। শীর্ষে থাকা বাবর আজমের ঝুলিতে রয়েছে ৮৮৫ রেটিং পয়েন্ট।
অন্যদিকে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে নিজের তৃতীয় স্থানটা আরও সুসংহত করেছেন মোহাম্মদ নাবী। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে ১৮১ স্ট্রাইকরেটে ১৪৭ রান এবং বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে তার রেটিং পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৩৩০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দুরত্বটা মাত্র ৮ পয়েন্টের। ৩৯০ রেটিং নিয়ে দুজনেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।