রাজধানীতে সকাল থেকেই শীতের আগমন বেশ ভালোভাবেই অনুভব করছে নগরবাসী। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে হেমন্তের শুরু থেকেই শীত তার হাতিয়ার কুয়াশাকে সাথে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই আধিপত্য করছে এ বছর।
ইট কাঠ পাথরের নানা রকম সজ্জায় সজ্জিত শহর ঢাকা। জনবহুল এই শহরে গাড়িঘোড়া ও নানান যন্ত্রের নির্গত তাপে গরমকালের পরিবেশ নগরবাসীর কাছে অস্বস্তিদায়ক হলেও শীতের প্রভাব খুব বেশি কাবু করে উঠতে পারেনা। তাপমাত্রার সাথে অনুভবেরও বেশ খানিকটা ফারাক থাকে অনেক সময়ই।
রাজধানীতে আজ ভোরে ঘুম ভেঙ্গেছে যাদের তারা দেখেছে শীতের কড়ানাড়া তাদের ঘরের জানালায়। জানালা দিয়ে তাকিয়ে খুব বেশি দূরে চোখ যেতে দেয়নি শীতের বাহন কুয়াশা। শীতের জোড়ালো অংশগ্রহনটা ভালোভাবেই অনুভব করেছে নগরের মানুষ। সারাদিন কেটেছে শীতল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে। শীতের আকাশে কুয়াশার ঘনঘোর বেড়েই যাচ্ছে।
গতকাল ঠিক এমন সময় ঝুম বৃষ্টি নেমেছিলো নগরে। বৃষ্টির ফোঁটা আর দিনের সূর্য মিলিয়ে গিয়েছিলো একইসাথে। সেই থেকে এখনও বাতাসে শীতের আর্দ্রতা। আজ নগরের মানুষ শীতের পোশাক সঙ্গে নিয়েই বেড়িয়ে পরেছে নানামুখি কাজে।
একথা বলা বাহুল্য যে, বিগত বছরগুলোর শীতের তুলনায় এবছরে শীত বেশ খানিকটাই প্রস্তুতির। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় করোনাভাইরাস সংক্রমন। তবুও তো জনজীবন থেমে থাকার নয়।
সবার প্রত্যাশা সচেতনতার যায়গা থেকে, সকলের স্বাস্থ্যনিরাপত্তার স্বার্থেই শীতের অন্যান্য পোশাকের সাথে সবার মুখে বাধ্যতামূলকভাবে থাকবে মাস্ক।