করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোনো ওষুধ বা টিকা এখনো বাজারে আসেনি। ভাইরাসটি থেকে বাঁচতে নিয়মিত হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মুখে মাস্ক পরার মতো কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সার্জিক্যাল বা কাপড়ের মাস্ক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম না হওয়ায় সংক্রমণ ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তবে সুখবর হলো, বিজ্ঞানীরা এবার করোনাভাইরাস ধ্বংসকারী অ্যান্টিভাইরাল ফেস মাস্ক তৈরি করেছেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে আসছে এই মাস্ক।
মিরর অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের নটিংহাম টেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি অ্যান্টিভাইরাল ফেস মাস্ক কোভিড-১৯ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এই মাস্ক বাজারে পাওয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ মাস্ক যেখানে ৩ লেয়ার বিশিষ্ট হয়ে থাকে, সেখানে নতুন এই মাস্কে ন্যানো-কপারের তৈরি একটি অ্যান্টিভাইরাল লেয়ারসহ মোট ৫টি লেয়ার রয়েছে। এর কপারে থাকা আয়নের কারণে করোনাভাইরাস মারা যায় এবং পুনরুৎপাদন বন্ধ করে দেয়। নতুন এই মাস্কের ডিজাইনার ডা. গ্যারেথ কেভ বলেন, ‘আমরা যে ফেস মাস্ক তৈরি করেছি তা করোভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করায় প্রমাণিত হয়েছে, এর অ্যান্টিভাইরাল স্তর ভাইরাসকে আটকে দেয় এবং ধ্বংস করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘প্রচলিত সার্জিক্যাল টাইপের মাস্কগুলোর সমস্যা হলো এটি কেবলমাত্র প্রবেশ বা প্রস্থান করার জন্য ভাইরাসকে আটকায়। কিন্তু মাস্কের মধ্যে ভাইরাস একবার আটকা পড়লে তা ধ্বংস করার মতো সক্রিয় ব্যবস্থা নেই। আমাদের নতুন অ্যান্টিভাইরাল মাস্কে ন্যানোপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা মাস্কে আটকে থাকা ভাইরাস ধ্বংস করে দেয়। আমরা মাস্কের বাইরের দিক এবং ভেতরের দিক- উভয় পাশেই প্রতিরোধক লেয়ার যুক্ত করেছি, ফলে এটি কেবল পরিধানকারীকেই নয় বরং আশেপাশের মানুষদেরও সুরক্ষা দেয়।’ পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস ধ্বংসে এই মাস্কের সক্ষমতা ৯০ শতাংশ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু ভাইরাস ধ্বংসে সক্ষমতা ৯৯.৯৮ শতাংশ। এ মাসেই মাস্কটির উৎপাদন শুরু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বাজারে আসবে আগামী মাসে।