জাতিসংঘের একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে অর্ধেকেরও বেশি নারী খুন হয়েছেন তার নিজের পরিবারেরই কোনো সদস্যের হাতে। বর্তমানে নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক নিজেদের বাড়িই।
জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনওডিসি’র ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ৮৭ হাজার নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। এর ৫৮ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৫০ হাজার হত্যাই সংগঠিত হয়েছে মৃত নারীদের পরিবারের কোনো সদস্যের দ্বারা।
২০১৭ সালে হত্যার শিকার নারীদের ৩০ হাজার খুন হয়েছেন তাদের সঙ্গী বা ভালোবাসার মানুষের হাতে। জাতিসংঘের তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রতি ঘণ্টায় ছয়জন নারী নিজের পরিচিত মানুষের হাতে খুন হন।
শুধু নারী মৃত্যুর হার বা কারণই নয়, এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পরিবারের ভেতরে নারী সব সময় পুরুষের তুলনায় কম ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার কারণেই বেশি অত্যাচারিত হয়। এর কারণ হিসাবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে লিঙ্গবৈষম্যকে।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকা ও আফ্রিকার দশেগুলোতে নারীরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হন। পরিবারের সদস্যের হাতে নারীদের নিহত হবার সংখ্যাও এই দুই মহাদেশে সবচেয়ে বেশি।
নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রবণতা ইউরোপের দেশগুলোতে তুলনামূলক কম বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে পরামর্শ হিসাবে বলা হয়েছে, উন্নত আইনব্যবস্থা, সামাজিক নীতি-বদল ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির কথা। এসব ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফল পেতে হলে পুরুষদেরও উদ্যোগী হতে হবে।