“সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটি” একটি অপরাধ পর্যবেক্ষণ ও সামাজিক মানবাধিকার সংগঠন। অত্র সংগঠনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “আমি নিজে অপরাধ করব না ও অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করব” ২০১৬ সালের ৯ মার্চ মাত্র ৭ জন সদস্যের সমন্বয়ে অত্র সংগঠনটির যাত্রা শুরু করি। অতপর সংগঠনের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করে দেশের আইন বাস্তবায়ন সহ পবিত্র সংবিধানের উপর আস্থা রেখে কাজ করছি। এই সংগঠনের মাধ্যমে মহামারী করোনাভাইরাস এর সময় হতদরিদ্র খেটেখাওয়া শত শত পরিবারের মাঝে ত্রান ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি।তাছাড়া পবিত্র ঈদ কে সামনে রেখে খেটে খাওয়া হতদরিদ্র শত শত পরিবারের মাঝে প্রতিবছর সোসাইটির উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে থাকি এবং জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন স্বেচ্ছাশ্রম সহ ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করেছি। সামাজিক বন্ধন দৃঢ় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শত শত দম্পতিদের যৌতুকের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে বিরত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করে সফল হয়েছি। যৌতুক শাস্তি মুলক অপরাধ মর্মে প্রচার-প্রচারণা সেমিনার করেছি এবং অনেকাংশে সফল হয়েছি।মাদকের করাল গ্রাস হতে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। এইসব কাজ করতে কোন প্রকার সরকারী বা বেসরকারী সাহায্য কিংবা অনুদান ছাড়াই সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সদস্যদের নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন করেছি। আমরা দেখেছি দান-খয়রাত করে মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা যায় না। আর মানবাধিকার বাস্তবায়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রদত্ত আইন কানুন ১০০% ভূমিকা রাখে। সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সেবামূলক মানবাধিকার সংগঠন আমরা বলবো সংবিধান মেনে চলুন, আইন বাস্তবায়ন করুন, প্রতিষ্ঠিত হউক মানবাধিকার। আমরা মানবাধিকারকর্মী, মানবাধিকার লঙ্গন জনিত ঘটনা সরকারকে অবহিত করি,সেটা সরাসরি অথবা এলেক্ট্রনিক মেডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, চিঠি,মোবাইল, ফোন,ফ্যাক্স কিংবা ই-মেইল এর মাধ্যমে। অত্র সংগঠনে এখন প্রায় কয়েক হাজার কর্মী আমাদের কাছে এই মর্মে শপথ করেছে যে,আমরা অপরাধ করবো না এবং অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিয়ে স্বেচ্ছায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আর কিছু না হলেও কয়েক হাজার কর্মী অপরাধ থেকে বিরত আছে। হলফ করার পরও যদি কোন সদস্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়লে আমরাই তাকে আইনে হাতে তুলে দিবো।সংগঠনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সৎ মানুষ সৃষ্টি করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল মহানগর, বিভাগ, জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ অব্যাহত আছে। মানবাধিকার কি মানবাধিকার সম্বন্ধে এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয় “মানুষের বৈধ প্রয়োজন বা রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃতি বা সমর্থিত তা-ই মানবাধিকার” মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদিম যুগ থেকে পরিবারের কর্তাগন ,অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান ও নিরাপত্তা প্রদান করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করতেন রাজা বাদশারা সেবা দিয়ে প্রজাদের মানবাধিকার বাস্তবায়ন করতেন। আবার কোন সময় রাজারা খেয়াল খুশি মতো কাজ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনও করতেন। সে ক্ষেত্রে প্রজারা সেইসব রাজাদের বর্জন করেছেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করলে। নিরপেক্ষ ভাবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে মর্মে গণতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্ব প্রথম মানবাধিকার সংগঠনের নাম হিলফুল ফুজুল সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা-মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আমার ,আপনার, সকলের এই পরিণতি থেকে উত্তরণের উপায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও সংবিধানের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে পরিপূর্ণভাবে আইন বাস্তবায়ন করা।