বাংলা ক্যালেন্ডারে ৯ কার্তিক। হেমন্তকাল। কিন্তু এই সময়েই গ্রামেগঞ্জে শীতের আবাহন। দিনের পুরোটাভাগে কিছুটা গরমের ভাব। কিন্তু রাত নামলেই ভিন্ন আমেজ। সারারাত শিশির পড়ে। ভোরে দেখা যায় কুয়াশা। শেষ রাতের দিকে হালকা শীতও পড়তে শুরু করেছে। সবুজ ঘাষের ডগায় জমছে শিশির কণা। রাজধানীর আশপাশের জেলা শহরগুলোতে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। ঢাকার বাহিরেও গ্রামেগঞ্জে শীতের আমেজ এসেছে। রবিবার ঢাকার খুব কাছের জেলা মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সকালে ফিনফিনে কুয়াশার আকিঁবুকি দেখা গেছে। এসব এলাকায় ভোর রাত্রে শীতও পড়ে।
কালকিনির উত্তর রাজদী গ্রামের জলিল মোল্লা বলেন, কার্তিক মাসের শুরু থেকে রাতে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ভোর রাতে শীতও পড়তে শুরু করেছে। একই গ্রামের স্কুলছাত্র তামিম জানায়, সে প্রতিদিন ভোরে মক্তবে পড়তে যায়। কয়েকদিন ধরে ভোরে কুয়াশা পড়ছে। তাই সকালে সে হালকা শীতের পোশাক জড়িয়ে মক্তবের দিকে পা বাড়ায়। ঋতুচক্রে শীতকাল শুরু না হলেও শিশির ভেজা সকাল শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। হেমন্তের সকালে গাছের পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দুগুলো জানিয়ে দেয় শীতের আবাহন। শেষ রাতে টিনের চালে শিশির বিন্দু পড়ার শব্দও বিমোহিত করে। জানিয়ে দেয় এই বুঝি চলে এলো শীতকাল। তাই শীতকে বরণ করে নিতে বছরজুড়ে আলমারিতে তুলে রাখা লেপ-তোষক রোদে গরম করে নেওয়া হচ্ছে।