ইরফান শুক্কুরের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে ১৭৩ রানের পুঁজি পেয়েছে তারা। তিন দলের এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে মাহমুদউল্লাহ একাদশের চাই ১৭৪ রান।
আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে নাজমুল একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খান নাজমুলরা। প্রথম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হন ওপেনার সাইফ হাসান। চার রানে ভাঙে নাজমুলদের ওপেনিং জুটি।
পরের ওভারে রিটায়ার্ড হয়ে সাজঘরে যান সৌম্য সরকার। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এবার আর দলের ঢাল হতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ১৩তম ওভারে মুশফিককে এলবির ফাঁদে ফেলেন সুমন খান। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ। ৩৭ বলে ১২ রানে ফেরেন মুশফিক।
বিশ্রাম থেকে ফিরে ব্যর্থ হন সৌম্যও। সুমনের বলেই উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে পাঁচ রান। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। সুমন পান নিজের তৃতীয় উইকেট।
আশা জাগিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল। ইনিংসের ২২.৩ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মাহমুদুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ফেরার আগে ৫৭ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩২ রানে করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
এরপর ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তৌহিদ হৃদয়। ৮৮ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজন। আশা জাগানিয়া এই জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তৌহিদ। ফেরার আগে ৫৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
এরপর নাজমুল একাদশকে একাই টানেন শুক্কুর। তরুণ ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানকে নিয়ে ধীরে সুস্থে দলকে টানেন তিনি। ৪৬ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকলেন না নাঈমও। নাঈমকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান সুমন। এরপর নাসুম আহমেদকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন সুমন। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মাটি কামড়ে উইকেটে ছিলেন শুক্কুর। শেষ পর্যন্ত ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানে থামে নাজমুল একাদশ। ৭৫ রান করেন শুক্কুর। ৭৭ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল আট বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায়।
বল হাতে মাহমুদউল্লাহ একাশের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সুমন খান। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২৭ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন রুবেল। সমান একটি করে নেন এবাদত হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।