সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে দেশের সব জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
বেক্সিমকো এমডি বলেন, প্রতিটি ভ্যাকসিনের স্যাম্পল আমরা ওষুধ প্রশাসনের ল্যাবরেটরিতে পাঠাবো টেস্ট করার জন্য। তিনি বলেন, তারা ছাড়পত্র দিলে প্রতিটি জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবো। ধারণা করছি, ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে অথবা চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে আমরা এ ভ্যাকসিনগুলো দেশের সব জেলায় পৌঁছে দিতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই, ভারতের মুম্বাই থেকে ভ্যাকসিন ঢাকায় এসেছে, বিমানবন্দর থেকে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে (গুদামে) নেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রতিটি ভ্যাকসিন চেক করে দেখা হবে। কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে বা ডেমেজ, শর্টেজসহ কোনো রকমের সমস্যা থাকলে, সেগুলো বেক্সিমকো ফার্মা নিয়ে যাবে। সেগুলোর দায় বেক্সিমকোর। সরকারকে আমরা নিখুঁত ভ্যাকসিন দেবো আমরা। এখন থেকে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে, জানান তিনি। পাপন বলেন, এ ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য আমরা বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ড ভ্যান কিনেছি। যা আমাদের আগে ছিল না। আজ নয়টি কাভার্ড ভ্যারে ভ্যাকসিন বহন করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসে আরও ভ্যান আসবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনবাহী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি এর আগে সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।