কুমিল্লায় পাঁচ বছর আগে ট্রেনে ডাকাতির সময় আব্দুর রহমান নামে এক সেনা সদস্যকে হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়। এছাড়া রায়ে একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদারিয়া কালোনী এলাকার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ উপজেলার চন্দন কলাবাগান এলাকার জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার উথারিয়া পাড়া এলাকার উজ্জল মিয়া এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মশাখালী এলাকার প্রদীপ দাস। ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আলী আক্কাছ। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকায়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার।
জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও এলাকার হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান সেনাসদস্য হিসেবে বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর বাড়ি থেকে বগুড়া সেনানিবাসে যোগদানের উদ্দেশ্যে ট্রেন অথবা বাসে রওনা হয়। পরদিন ২২ অক্টোবর আবদুর রহমানের পরিবার জানতে পারে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ গোত্রশাল দীঘির পশ্চিম পাশে জখম অবস্থায় লাশ পড়ে আছে। পরে লাকসাম রেলওয়ে থানা সেনাসদস্য আবদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে। ওই দিন আবদুর রহমানের বাবা হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলাটি করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
দীর্ঘদিন শুনানির পর আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগারে আছেন। ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আক্কাছ বর্তমানে পালাতক রয়েছে।