মাদক ও জুয়া মামলার আসামীদের ছবি না তুলতে দেওয়ার চুক্তিতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা করে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা প্রদান ও অসদাচরণ করেছে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় মাদক ও জুয়ার মামলার প্রায় ২১ জন আসামীকে কোর্টে প্রেরণের সময় সাংবাদিকরা ছবি তোলার জন্য অবস্থান নিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফ আহমেদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খলিল সাংবাদিকদের থানা প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন এবং অসদাচরণ।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল রাত থেকেই থানায় অবস্থান নেয় গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারীদের শেল্টারদাতা এবং সহযোগিরা। পুলিশের সাথে তাদের তদবিরের চেষ্টা চলতে থাকে। পরবর্তীতে আসামীদের আদালতে প্রেরণের সময় সাংবাদিকরা যেন ছবি তুলতে না পারে, সেই চুক্তিতে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা হয়। যার কারণে পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের থানা প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেয়। একাধিক সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ি ও মাদক ব্যবসায়িদের শেল্টাদাতা টাইগার ফারুকের সহযোগিরা এই তদবিরে নামে। যাতে তার সহযোগিদের ছবি কেউ তুলতে না পারে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শরীফ আহমেদ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে এমন নির্দেশ দেইনি। আমার কাছে কয়েকজন সাংবাদিক ছবি তোলার জন্য বলেছিলেন, আমি তাদের ছবি নেওয়ার জন্য থাকতে বলেছি।
মামলা জানা যায়, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) নিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৩ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি, একটি রিমোর্ট ও জুয়া খেলায় ব্যবহৃত নগদ ৮৮ হাজার ৪৩৫ টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতাররা হলো, পলাশ (৩২),নয়ন (২৫),শাহ পরান (২৪), রাহাত (২৩), ইকবাল (৪০),মাসুম (২৮),বাচ্চু মিয়া (৩৫), লিটন (৪৬), জহুরুল ইসলাম (৪৪), মোঃ শাহীন (৩৯), জাহাঙ্গীর আলম (২৩), আলমগীর (৩২) ও জিকু (২০)।