প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছে সরকার। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধা কেটে গেছে। সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। আজ রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দিয়েছি। এসব পদক্ষেপের ফলে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। প্রতিটা মানুষ যাতে চিকিৎসা পায়, সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন একমাত্র লক্ষ্য। নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চের ভিত্তি স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছি, তা করার ফলে মনে করি আমাদের দেশ স্বাস্থ্য খাতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এবং বেসরকারি খাত আরও উৎসাহিত হয়ে আসবে, যেন এ ধরনের সেবামূলক কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, আজকে আমি খুব আনন্দিত যে একটা মেডিকেল কলেজ এবং রিসার্চ সেন্টার হচ্ছে, হাসপাতাল হচ্ছে এবং সেটা নারায়ণগঞ্জে। কারণ নারায়ণগঞ্জে হওয়াটা খুবই দরকার, ঢাকার পাশেই নারায়ণগঞ্জ। আসলে নারায়ণগঞ্জে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না, তেমন কোনো একটা মেডিকেল কলেজ ছিল না। কোনো কিছুই ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, মেডিকেল কলেজ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি, হাসপাতাল করে দিচ্ছি এবং হাসপাতালগুলো যাতে উন্নতমানের হয় সেটারও ব্যবস্থা করে দিয়েছি, ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিয়েছি। সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে। ’৭৫-এর পরবর্তী শাসকরা দেশের মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করা জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী কমপ্লেক্স প্রান্তে এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রীমতি সাহা উপস্থিত ছিলেন।